Homeopathic treatment for tumor লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Homeopathic treatment for tumor লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ১২ মে, ২০১৯

টিউমার চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি


টিউমার ইংরেজি শব্দ এর বাংলা প্রতিশব্দ হল অর্বুদ। চিকিৎসা বিজ্ঞানে টিউমার বলতে একটি বিশেষ নিদান ত্বাত্তিক অবস্থাকে বুঝানো হয়। টিউমার ঠিক কি কারণে মানবদেহে হয় তা আজো আমাদের কাছে অজানা। আমাদের শরীরের মাংসপেশীতে বা হারে বা যে কোন স্থানে যদি দেহ কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়, শরীরের যেকোনো স্থানে যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ফুলে যায় বা উঁচু হয়ে যায় তাকে টিউমার বলে। টিউমার শরীরের যে স্থানে হয় সেই স্থান অনুযায়ী টিউমারের নাম হয়ে থাকে। যেমন- মহিলাদের ওভারিতে টিউমার হলে তাকে ওভারিয়ান টিউমার বলে, শিরদাঁড়াতে টিউমার হলে তাকে স্পাইনাল টিউমার বলে। 

টিউমার তিন ধরনের হয় যেমন- ১। হিস্টোমা ২। সাইটোমা এবং ৩। টেরাটোমা। হিস্টোমা টিউমার আবার দুই প্রকারের হয় যেমন- ১।ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বা দূষিত টিউমার ২। বিনাইন বা ইনোসেন্ট বা নির্দোষ টিউমার।

টিউমার

ম্যালিগন্যান্ট টিউমারঃ ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের বৃদ্ধি খুব তাড়াতাড়ি হয়। এটি নিরেট, শক্ত ও কঠিন হয়। আক্রান্ত স্থানের কাছাকাছি গ্রন্থিগুলোও আক্রান্ত হয়। ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের সাথে যে চামড়া সংযুক্ত থাকে তা দৃঢ় বা শক্তভাবে সংযুক্ত থাকে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমার শক্ত থাকে তাই নার্ভের উপর চাপ পড়ে বলে ব্যাথা হয়। এ ধরনের টিউমার থেকেই পরবর্তীতে ক্যান্সার সৃষ্টি হয়।

বিনাইন বা ইনোসেন্ট টিউমারঃ এটি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়, নরম হয়, শক্ত হয় না, আবরণ থাকে না। টিউমারের কাছের গ্রন্থি গুলি আক্রান্ত হয় না। টিউমারের সাথে যে সংযুক্ত চামড়া তা আলাদা থাকে। টিপলে বুঝা যায় যে, সেটি ভিতরে নড়াচড়া করছে। এই টিউমারের কোন যন্ত্রণা হয় না।

টিউমার চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু গুরুত্বপূর্ণ হোমিওপ্যাথিক ঔষধঃ যদি গলায় চর্বিযুক্ত টিউমার হয় তাহলে ব্যারাইটা কার্ব ২০০ সপ্তাহে দুইবার ৫ ফোঁটা করে জিভে দিয়ে খেতে হবে। পাথরের মত শক্ত টিউমার হলে ক্যালকেরিয়া ফ্লোর বায়োকেমিক ৬ এক্স থেকে ১২ এক্স অথবা ক্যালকেরিয়া ফ্লোর ২০০ সপ্তাহে দুই বার ৫ ফোঁটা করে সকালে খালি পেটে খেতে হবে। সাইকোসিস ধাতু যুক্ত টিউমার হলে যেমন- টিউমারটি নরম হবে, টিউমার এর উপর ছোট ছোট আঁচিল বা অর্বুদ থাকবে আর সেই সাথে সেই ব্যক্তির শরীরে অনেক আঁচিল থাকবে এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে থুজা ১এম ৫ ফোঁটা করে জিভে দিয়ে সপ্তাহে একবার সকালে খেতে হবে। গ্রান্ডে যদি টিউমার হয় যেমন- স্তনে বা অন্ডকোষে তাহলে কোনিয়াম ২০০ সপ্তাহে ২ বার সকালে খালি পেটে ৫ ফোঁটা করে জিভে দিয়ে খেতে হবে। চর্বিযুক্ত যেকোনো টিউমারের ক্ষেত্রে ক্যালকেরিয়া কার্ব ২০০ ঔষধটি দিনে একবার করে সকালে খালি পেটে ৫ ফোঁটা করে জিভে দিয়ে খেতে হবে। মহিলাদের স্তনে যদি টিউমার হয় তাহলে ফাইটোলাক্কা ৩০ ঔষধ টি দিনে দুইবার ৩ ফোঁটা করে জিভে দিয়ে খেতে হবে। কানে বা নাকে যদি ছোট ছোট টিউমার হয় তাহলে থুজা ৩০ ঔষধটি দিনে দুইবার ৩ ফোঁটা করে খেতে হবে। টিউমারের একটি কার্যকরী জার্মান হোমিওপ্যাথিক কম্পোজিশন ঔষধ হচ্ছে আর-১৭। এই ঔষধ টি যেকোনো টিউমারের ক্ষেত্রে চমৎকার কাজ করে। এটি টিউমার ড্রপ নামেও পরিচিত। এটি আমাদের শরীরের যে কোন স্থানে টিউমার এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এই ঔষধটি দিনে তিনবার ১৫ ফোঁটা করে আধা কাপ পানির সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। 

প্রথমে যে ঔষধ গুলির কথা বলা হলো লক্ষণ অনুযায়ী সেই ঔষধ গুলি খাবার সাথে সাথে এই হোমিওপ্যাথিক কম্পোজিশন আর-১৭ ঔষধ টি কিছুদিন খেলে টিউমার থেকে মুক্ত হওয়া যাবে আশা করা যায়।