কোষ্ঠকাঠিন্য রোগটি প্রায় মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। এ রোগের মাধ্যমে আরো নতুন নতুন রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা পরিষ্কার না হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম। ঠিকমতো ফাইবার বা আঁশ যুক্ত খাবার না খাওয়া, যেমন- ফল, শাকসবজি, রুটি ইত্যাদি না খাওয়া। সময় মত খাবার না খাওয়া, মসলাদার খাবার, তেলেভাজা খাবার, চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া। এই সমস্ত খাবারের অনিয়মের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। দ্বিতীয় কারণ হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করা। তৃতীয় কারণ হচ্ছে অলসতা অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি ঠিকমত পরিশ্রম না করে, শারীরিক ব্যায়াম না করে, অলস জীবন-যাপন করে তার ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের চতুর্থ কারণ হলো এলোপ্যাথিক ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়া যেমন কিছু ব্যথার ঔষধ বা ক্যালসিয়াম খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। এছাড়াও কিছু রোগ থাকলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে যেমন- কারও আইবিএস থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, সার্জারি করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে, কোন মহিলা গর্ভবতী থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে, এছাড়াও বয়স্ক মানুষের বেলাতেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
Constipation |
লক্ষণঃ কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পায়খানা পরিষ্কার হয় না, পেট ভার হয়ে থাকে, নিয়মিত পায়খানা হয় না, পেট ব্যথা করে, মনে হয় পায়খানা পেটে রয়ে গেছে, পেট ফুলে থাকে, খাওয়ার অরুচি থাকে, মাথা ব্যাথা হয়, ঘুম ঠিকমতো হয় না। এ সমস্ত লক্ষণ কোষ্ঠকাঠিন্যের বেলায় থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার চমৎকার একটি হোমিওপ্যাথিক কম্বিনেশন ঔষধ হচ্ছে ওয়াই লাক্স ট্যাবলেট। এই ঔষধে মেশানো রয়েছে ফেনপ থেলিন ১এক্স যা কোষ্ঠকাঠিন্যের খুবই কার্যকরী ঔষধ। মেশানো রয়েছে সিনা ১এক্স ও সালফার ১এক্স।
বড়রা দুটি করে ট্যাবলেট প্রতিদিন রাতে চিবিয়ে খেয়ে এক কাপ হালকা গরম পানি খাবে আর ছোটরা একটি ট্যাবলেট চিবিয়ে খেয়ে আধা কাপ হালকা গরম পানি খাবে। এভাবে ট্যাবলেটটি খেলে প্রথম দিন থেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে থাকবে এবং এক থেকে তিন মাসের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, এই ঔষধ টি খাওয়ার সময় যদি ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হয় তাহলে ওষুধ খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। আর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হলে খাওয়া দাওয়া সময় মত করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে, আঁশযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে, চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে এবং পরিমিত পরিশ্রম করতে হবে।