সোমবার, ২৩ মে, ২০২২

প্রোস্টেট গ্লান্ড বৃদ্ধির হোমিও চিকিসা

প্রোস্টেট গ্লান্ডের বৃদ্ধিজনিত সমস্যার কথা আজকাল হরহামেশাই শুনা যায়।প্রোস্টেট একটি সুপারির মতো মাংস পিণ্ড, যা পুরুষের মূত্রথলির গ্রিবার নিচে মূত্রনালিকে ঘিরে থাকে। এর প্রধান কাজ বীর্যের তরল অংশ তৈরি করে শুক্রাণুর খাদ্যের জোগান দেওয়া।


বৃদ্ধির কারণ : বয়স বৃদ্ধির (৫০ বছরের অধিক) সঙ্গে সঙ্গে দেহের হরমোনেও কিছু কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে। হরমোনের পরিবর্তনকেই প্রোস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধির (বিনাইন এনলার্জমেন্ট অফ প্রস্টেট) কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়।

বৃদ্ধির ফলাফলপ্রথমত : মূত্রনালির চারদিকে প্রোস্টেটের কোষ সংখ্যা বেড়ে মূত্রনালিকে চেপে ধরে। দ্বিতীয়তপ্রোস্টেট গ্রন্থির মধ্যভাগ বৃদ্ধি পেয়ে মূত্রনালির বাইরের পথকে আটকে দেয়। ফলে মূত্রথলি থেকে সহজে প্রস্রাব বের হতে পারে না।

রোগের উপসর্গসমূহ : ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাব করার পরও প্রস্রাবের থলি খালি না হওয়া, প্রস্রাবের বেগ আটকিয়ে রাখা অসম্ভব হওয়া, প্রস্রাবের গতি দুর্বল হওয়া মাঝপথে বন্ধ হওয়া, প্রস্রাবের থলি বেশি ভরে গিয়ে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

রোগ নির্ণয় : রোগের ইতিহাস, শারীরিক পরীক্ষা এবং রোগীর লক্ষণ পর্যালোচনা করে রোগ নির্ণয় করা যায়। শারীরিক পরীক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো DRE (পায়ুপথে আঙ্গুল দিয়ে প্রোস্টেট পরীক্ষা করে প্রোস্টেট গ্রন্থির আকার, প্রকৃতি, ধরন এবং কাঠামো সম্পর্কে ধারণা লাভ করা)

প্রোস্টেট এর স্ফীতি ছাড়া অন্যান্য যেসব রোগের কারণে উপরের উপসর্গ হতে পারে তা হলো- মূত্রথলির পাথর, মূত্রতন্ত্রের প্রদাহ, ডায়াবেটিস, স্নায়ু রোগ, প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সার, স্ট্রোক, আঘাত/গনোরিয়াজনিত মূত্রনালির সরু (Stricture) হওয়া।

প্রোস্টেট গ্রন্থির হোমিও চিকিৎসা : রোগের লক্ষণের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে প্রোস্টেট গ্রন্থির চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু গুরুত্বপূর্ণ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন হচ্ছে Sabal Serrulata (সেবাল সেরুলেটা), Thuja occidentalis (থুজা অক্সিডেন্টালিস), Petroselinum (পেট্রোসেলিনাম), Ferrum picrate (ফেরাম পিক্রেট), Cantharis (ক্যানথারিজ),Staphysagria (স্ট্যাফিস্যাগ্রিয়া),Arnica Montana (আর্নিকা মন্টানা), Hydrangea (হাইড্রানজিয়া), Conium (কোনিয়াম), Digitalis (ডিজিটালিস) ইত্যাদি।

সাবধানতা : প্রোস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধিজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে চা, কফি, অ্যালকোহল পান থেকে বিরত থাকতে হবে। ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল মূত্রথলিকে চেতিয়ে তুলে বা উদ্দীপিত করে এবং ইউরিনারি ফ্রিকোয়েন্সি বা প্রস্রাবের পুনরাবৃত্তি বৃদ্ধি করে, যা প্রোস্টেটে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও রাতে পানীয় গ্রহণ সীমিত করা উচিত।

 

শনিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২২

দ্রুত বীর্যপাত কি? কেন হয় দ্রুত বীর্যপাত? দ্রুত বীর্যপাতরোধে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ সমূহ।

দ্রুত বীর্যপাত বলতে চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনকে বুঝানো হয়ে থাকে। যদি নিয়মিত নারী-পুরুষের মধ্যে  ইচ্ছার চেয়ে দ্রুত বীর্যপাত হয়, অর্থাৎ যৌন সঙ্গম শুরু করার  আগেই কিংবা যৌন সঙ্গম শুরুর একটু পরেই  যদি  বীর্যপাত হয়ে  যায় তাহলে যে সমস্যাটি হয় তার নাম দ্রুত বীর্যপাত বা প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন। 

প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন একটি সাধারণ যৌন  সমস্যা, প্রায় মানুষের মাঝেই এ সমস্যাটি খুঁজে পাওয়া যায়।  তবে  সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার  মাধ্যমে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

উপসর্গঃ পুরুষের বীর্যপাত হতে কতটা সময় নেবে সে ব্যাপারে চিকিৎসা বিজ্ঞানে আদর্শ মাপকাঠি বলতে কিছু নেই। দ্রুত বীর্যপাতের প্রাথমিক লক্ষণ হচ্ছে নারী-পুরুষ উভয়ের চরম পুলক লাভের আগেই পুরুষটির বীর্যপাত হয়ে যাওয়া। এ সমস্যা সব ধরনের যৌনতার ক্ষেত্রেই হতে পারে। যেমন হস্তমৈথুন কিংবা যৌন মিলনের সময়।


কারণঃ ঠিক কি কারণে দ্রুত বীর্যপাত হচ্ছে তা খুঁজে বের করতে বিশেষজ্ঞগণ এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছেন। একসময় ধারণা করা হতো, এটি সম্পূর্ন মানসিক ব্যাপার। কিন্তু বর্তমানে জানা যায় যে, দ্রুত বীর্যপাত হওয়া একটি জটিল বিষয় এবং যার সংগে মানসিক এবং জৈবিক দুটোরই সম্পর্ক রয়েছে।

মানসিক কারণঃ কিছু চিকিৎসক মনে করেন যে, প্রথম বয়সে যৌন অভিজ্ঞতা ঘটলে তা এমন একটি অবস্থায় পৌঁছে যে, পরবর্তী যৌন জীবনে সেটি পরিবর্তন করা কঠিন হতে পারে। যেমন-

১। লোকজনের দৃষ্টিকে এড়ানোর জন্য তড়িঘড়ি করে চরম পুলক লাভ করার চেষ্টা।

২। অপরাধবোধ, যার কারণে যৌনক্রিয়ার সময় হঠাৎ করেই বীর্যপাত ঘটে যাওয়া। অন্য আরও কিছু বিষয় দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে। এসবের মধ্যে আছে-

পুরুষাঙ্গের শিথিলতাঃ যেসব পুরুষ যৌনমিলনের সময় তাদের লিঙ্গের উত্থান ঠিকমত হবে কিনা কিংবা কতক্ষণ লিঙ্গ উত্থিত অবস্থায় থাকবে এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করলেও দ্রুত বীর্যপাত ঘটে।

দুশ্চিন্তাঃ অনেক পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের একটি প্রধান কারণ দুশ্চিন্তা। যৌনকর্ম ঠিকমত সম্পন্ন করতে পারবেন কিনা তা নিয়েই যত দুশ্চিন্তা। আবার অন্য কারণেও হতে পারে। দ্রুত বীর্যপাতের আরেকটি প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত উত্তেজনা।

জৈবিক কারণঃ বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, কিছু সংখ্যক জৈবিক বা শারীরিক কারণে দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে-

১। হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা।

২। মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদান বা নিউরোট্রান্সমিটারের অস্বাভাবিক মাত্রা।

৩। বীর্যস্খলনে অস্বাভাবিক ক্রিয়া।

৪। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা।

৫। প্রোস্টেট অথবা মূত্রনালীর প্রদাহ ও সংক্রমণ।

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ঃ দ্রুত বীর্যপাতে ঝুঁকি বাড়াতে পারে যেসব বিষয়-

পুরুষাঙ্গের শিথিলতাঃ লিঙ্গ বা পেনিস ঠিকমত উত্থিত না হওয়া বা মাঝে মাঝে উত্থিত হওয়া অথবা উত্থিত হয় কিন্তু বেশিক্ষণ হট অবস্থায় না থাকা। এটি দ্রুত বীর্যপাত ঘটানোর ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে পারে। যৌন সঙ্গমের সময় লিঙ্গের উত্থান বা পেনিসের হট অবস্থা বেশিক্ষণ থাকবে না এমন ভয়ও দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে।

স্বাস্থ্যগত সমস্যাঃ যদি এমন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে যার কারণে যৌন মিলনের সময় উদ্বেগ অনুভব করে যথা-হৃদরোগ থাকে, এতেও দ্রুত বীর্যপাতের ঘটনা ঘটতে পারে।

মানসিক চাপঃ আবেগজনিত কারণ কিংবা মানসিক চাপ দ্রুত বীর্যপাতের ব্যাপারে ভূমিকা রাখে।

জটিলতাঃ যদিও দ্রুত বীর্যপাত আপনার মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ায় না কিন্তু এটি ব্যক্তিগত জীবনে ধ্বস নামাতে পারে। যেমন-সম্পর্কে টানাপোড়েন। দ্রুত বীর্যপাতের সাধারণ জটিলতা হলো যৌন সঙ্গিনীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি।

প্রতিরোধঃ দ্রুত বীর্যপাতের কারণে যৌন সঙ্গিনীর সঙ্গে ঠিকমত যোগাযোগ বন্ধন গড়ে উঠতে পারে না। চরম পুলকে পৌঁছতে পুরুষের তুলনায় নারীর দীর্ঘ উদ্দীপনার প্রয়োজন হয় আর এই পার্থক্য একটি দম্পত্তির মধ্যে যৌন অসন্তষ্টি ঘটাতে পারে। অনেক পুরুষ যৌন মিলনের সময় চাপ অনুভব করেন বলে দ্রুত বীর্যপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

নারী ও পুরুষ একে অপরকে বুঝতে পারলে দুজনের জন্যই যৌন সুখ লাভ করা সহজ হয়। এতেকরে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তাও দূর হয়। যদি সঙ্গিনীর কাছ থেকে যৌন সুখ লাভ না করেন তাহলে তার সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করতে হবে। দুজনের মধ্যে সমস্যাটি কোথায় তা খুঁজে বের করতে হবে এবং প্রয়োজনে একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকে+র সাহায্য নিতে হবে। এক্ষেত্রে সব লজ্জা ও জড়তা ঝেড়ে ফেলে খোলা মনে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। এ সমস্যা খুবই সাধারণ এবং এর নির্ভরযোগ্য চিকিৎসাও রয়েছে।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ এ রোগের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিতে এগনাস কাস্ট, টারনেরা, লাইকোপোডিয়াম, ট্রিবোলাস, ডামিয়ানা, টেস্টিস, এসিড ফস, নুফার লুটিয়াসহ কয়েকটি ঔষধ রয়েছে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় একেক রোগীর একেক ধরনের ঔষধ প্রয়োগের প্রয়োজন হতে পারে। রোগী, রোগের কারণ ও লক্ষণ এবং মাত্রাভেদে এসব ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। তাই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ঔষধ সেবন করা উচিত নয়।

দ্রুত বীর্যপাত প্রতিরোধকারী ঔষধ সমূহঃ 

Caladium Seg (ক্যালাডিয়াম সেগ)- বহুদিন যাবৎ স্বপ্নদোষ হতে হতে লিঙ্গ বা পেনিস শিথিল হয়ে গেছে, স্ত্রী সহবাসের বা সেক্স করার ইচ্ছা অত্যান্ত প্রবল কিন্তু ক্ষমতাহীন। সহবাসকালে বা সেক্স করার সময়ে লিঙ্গ শক্ত বা হট হয় না, যদিও সামান্য রতিক্রিয়াতেই বীর্যপাত হয়ে যায়।

Conium (কোনিয়াম)- স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অত্যাধিক কিন্তু অক্ষম, সহবাসকালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময়ও লিঙ্গ শিথিল হয়ে যায়।

Lycopodium (লাইকোপোডিয়াম)- হস্তমৈথুন বা মাস্টারব্রেট, স্বপ্নদোষ, অথবা অত্যাধিক স্ত্রী সহবাসের কারণে ধ্বজভঙ্গ, স্ত্রীকে সোহাগ-আলিঙ্গন করলেও লিঙ্গ শক্ত বা হট হয় না।

Selenium (সেলেনিয়াম)-শুক্র তারল্য (বীর্য পাতলা) রোধে কার্যকর।

Agnus Castus (এগনাস কাস্ট)- অবৈধভাবে বা অপব্যবহারের মাধ্যমে বীর্যক্ষয়জনিত কারণে যারা ধ্বজভঙ্গ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে তাদের জন্য।

Anacardium (এনাকার্ডিয়াম)- স্মরণ শক্তিহীন রোগীদের প্রস্রাবের আগে বা পরে ধাতুপাত হয়ে ধ্বজভঙ্গ হলে।

Acid Phos (এসিড ফস)- স্ত্রী সহবাস জনিত মাথা ঘুরা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, লিঙ্গ শিথিল, অতি শীঘ্রই বীর্যপাত।

Carbonium Sulph (কার্বনিয়াম সালফ)- অজান্তে অথবা অনিচ্ছা সত্ত্বেও বীর্যপাত এবং স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা হয় না।

Salix Nigra (স্যালিক্স নায়াগ্রা)- স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা প্রবল কিন্তু সহবাসের ক্ষমতাহীন।

Titanium (টিটেনিয়াম)- সঙ্গমে অতি শীঘ্রই বীর্যপাত ও বীর্য পাতলা।

Nuphar Lut (নুফার লুটিয়া)- কাম উত্তেজনার হট কথা-বার্তায় কিংবা উত্তেজনায় অসাড়ে বীর্যপাত।

Turnera (টারনেরা)- শুক্রবর্ধক ঔষধ।

Avana Sat (এভেনা স্যাটাইভা)- হস্তমৈথুন বা মাস্টারব্রেট, স্বপ্নদোষ বা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাসজনিত শারীরিক দুর্বলতার জন্য উপকারী।

Medorrhinum (মেডোরিনাম)- গণরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ধ্বজভঙ্গ হলে প্রথমে এই ঔষধটি সেবন করে পরে লক্ষণ অনুযায়ী অন্য ঔষধ সেবন করতে হয়।

Phosphorus (ফসফরাস)- সুন্দর লম্বা ছিপছিপে গড়ন, চালাক, সামান্য কারণে মন খারাপ হয়ে যায়, হাঁটার সময় সামান্য নুয়ে চলে এই ধাতুর রোগীর হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ কিংবা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাসে বা অসাড়ে শুক্রপাত ইত্যাদি কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে ফসফরাসে উপকৃত হতে পারে।

    দ্রুতবীর্যপাত সমস্যায় উপরে আলোচিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গুলো লক্ষণ ভিত্তিক পরিমিত মাত্রায় সেবনে  স্বাভাবিক যৌন জীবন ফিরিয়ে দিতে দারুন কার্যকর। 

 

 

শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২১

পুরুষের পরম বন্ধু জার্মান হোমিওপ্যাথিক ঔষধ: R-41

 

বিশ্বখ্যাত জার্মান হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ডাঃ রেকওয়েগ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত R-41 ঔষধটি পুরুষের জন্য একটি আদর্শ টনিক। জীবনীশক্তির অভাব, অকাল বীর্যপাত, ধ্বজ ভঙ্গ, ধাতু দূর্বলতা, বিশেষত পুরুষদের মধ্যে সাধারণ দুর্বলতা, রোগভোগজনিত দূর্বলতা, অতিরিক্ত শারীরিক বা মানসিক পরিশ্রমজনিত দূর্বলতা, অতিরিক্ত উত্তেজনা, স্নায়বিক ক্লান্তি এবং বার্ধক্যজনিত নানা রোগের বিরুদ্ধে R-41 অত্যান্ত ফল প্রদেয়।

R-41

কার্যকারিতাঃ

·         পুরুষত্বহীনতা এবং কামনার অভাবের ক্ষেত্রে আদর্শ টনিক হিসাবে কাজ করে

·         প্রাণশক্তি বৃদ্ধি করে এবং শারিরীক দুর্বলতা হ্রাস করে

·         অসুস্থতাজনিত দূর্বলতার ক্ষেত্রে এটি কার্যক্রর ভুমিকা পালন করে।

·         যৌনাঙ্গকে শক্তিশালী করে এবং স্নায়বিক ক্লান্তি হ্রাস করে।

·         অকাল বীর্যপাত রোধ করে।

এছাড়াও R-41 কম্বিনেশটিতে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন গুলো যৌন দুর্বলতা দূর করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে।

এসিড ফসঃ অতিরিক্ত দুর্বলতা, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা বিভিন্ন রোগের ফলে যেমন- সুগার, ডায়াবেটিস বা অন্যান্য রোগের ফলে পুরুষদের ধাতু দুর্বলতা, লিঙ্গের শিথিলতা ইত্যাদি দেখা দেয় তাহলে এসিড ফস খুব ভালো কাজ করে। হারানো শক্তি পুনঃরুদ্ধারে এসিড ফস দারুন কার্যকরী।

এগনাস কাস্টঃ অতিরিক্ত হস্তমৈথুন বা অতিরিক্ত সহবাসের ফলে যদি ধ্বজভঙ্গ, লিঙ্গের বক্রতা, লিঙ্গের দুর্বলতা, লিঙ্গ ছোট হয়ে যাওয়া, স্বপ্নদোষ, উত্তেজনা না আসা বা লিঙ্গ শক্ত না হওয়া, তাছাড়া যদি অজ্ঞাতসারে ধাতু নির্গত হয় সেই সমস্ত দুর্বলতা দূর করতে এগনাস কাস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

চায়নাঃ রক্ত, রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া, স্নায়ু, দৈহিক নিঃসরণ-হজম ক্রিয়ার যন্ত্রসমূহ, যকৃত, প্লীহা, শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি ইত্যাদিকে শক্তিশালি করে তুলে। অতিরিক্ত ধাতু ক্ষয়জনিত রোগের ক্ষেত্রে চায়নার ব্যবহার ফলপ্রদ, উৎকণ্ঠা, বিষন্নতা, জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা, মানসিক অবসাদ ইত্যাদি দূর করে।

কোনিয়ামঃ স্ত্রী সহবাসের প্রবল ইচ্ছা থাকলেও শক্তিহীনতার দরুন সহবাসে অক্ষমতা দেখা দিলে কিংবা সহবাসকালে সামান্য সোহাগ-আলিঙ্গনেই লিঙ্গ নিস্তেজ হয়ে পড়লে কোনিয়াম এক্ষেত্রে অসাধারণ ফল প্রদেয়।

ডামিয়ানাঃ স্নায়বিক দুর্বলতার কারণে ধ্বজভঙ্গ, দ্রুত বীর্যপাত, লিঙ্গের শিথিলতা, স্বপ্নদোষ, প্রস্রাব-পায়খানা করার সময় অজ্ঞাতসারে ধাতু বের হয়ে যাওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে ডামিয়ানা খুবই কার্যকরী।

ফসফরাসঃ অতি-ইন্দ্রিয়ভোগ, ক্রোধ, ভয়, বিরক্তি, দুঃখ, মানসিক পরিশ্রম, উত্তেজনা, উদ্বেগ ইত্যাদি কারণে দুর্বলতা তৈরী হলে ফসরাস একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ।

সিপিয়াঃ দেহের সেলুলার ফাংশনকে শক্তিশালী করে তুলে। ক্লান্তি ও হতাশা দূর করে।

টেস্টিসঃ টেস্টিস ঔষধটি পুরুষের পুরুষোচিত শক্তি এবং প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও শরীরের সাধারণ বিকাশে সহায়তা করে।যারা অল্প বয়সে যৌন শক্তি হারিয়েছেন, অনিচ্ছায় বা সামান্য উত্তেজনায় যাদের বীর্যপাত হয়ে যায় টেস্টিস ঔষধটি তাদের পরম বন্ধু। দেহে পুরুষালি হরমোন তথা পুরুষের যৌন সক্ষমতা নিয়ন্ত্রকারী টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধিতে টেস্টিস দারুন কার্যকর।

ঔষধটি নিয়মিত সেবনে পুরুষের যৌন সম্পর্কিত সমস্যা সমূহ দূর করে স্বাভাবিক যৌন জীবন ফিরে পেতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। বিশ্বখ্যাত জার্মান হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন R-41 সত্যিকার অর্থেই পুরুষের পরম বন্ধু।


বুধবার, ১ জুলাই, ২০২০

যৌন সমস্যায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

যৌন সমস্যার লক্ষন ভেদে চিকিৎসায় কিছু হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনঃ 

Nux Vomica: (30,200,1m,10m,CM)
নাক্স ভমিকা ঔষধটি যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ বিশেষত যারা শীতকাতর, যাদের পেটের সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকে, শারীরিক পরিশ্রম কম করে, মানসিক পরিশ্রম বেশী করে ইত্যাদি ইত্যাদি।

Lycopodium clavatum: (30,200,1m,10m,CM)
লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি খেতে পারেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব খারাপ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন না কোন সমস্যা থাকবেই, অকাল বার্ধক্য, সকাল বেলা দুর্বলতা ইত্যাদি ইত্যাদি।


Homoeopathic Medicine

Sabal serrulata:Q,3x
সেবাল সেরুলেটা পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি হজমশক্তি, ঘুম, শারীরিক শক্তি, ওজন (কম থাকলে) ইত্যাদিও বৃদ্ধি পায়। এটি মেয়েদেরও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে এবং ক্ষুদ্রাকৃতির স্তনবিশিষ্ট মেয়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করে থাকে। বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত যে-কোন সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস নির্মূল করতে পারে।

Salix nigra: Q,3x
মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা। এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে, এই ঔষধ একই সাথে তাদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন, এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে।

Selenium: (3x,4x,30,200,1m,10m,CM)
যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।

Titanium: 3x,4x
সঙ্গমে অতি শীঘ্রই বীর্যপাত ও বীর্যপাতলা।
Agnus Castus: (3x,30,200,1m,10m,CM)
সাধারণত গনোরিয়া রোগের পরে যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।

Staphisagria: (30,200,1m,10m,CM)
পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি খেতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।

Moschus Moschiferus: Q,2x,3x,6
ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

Phosphoricum Acidum:(Q,3x,1m,10m,CM)
সাধারণত টাইফয়েড বা এরকম কোন মারাত্মক রোগের ভোগার কারণে, মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ ইত্যাদি কারণে যৌন ক্ষমতা কমে গেলে অথবা একেবারে নষ্ট হয়ে গেলে (এবং সাথে অন্য আরো যে-কোন সমস্যা হউক না কেন) এসিড ফস আপনাকে সব ফিরিয়ে দিবে।

Caladium seguinum:(30,200,1m,10m,CM)
যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীরয নির্গত হয় না বা যাদের বীরয তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য কার্যকরী।

Origanum marjorana:Q,3x
ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।

Cantharis:Q,3x,6
Cantharis ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ এবং এ ঔষধ টি প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ায়একটি কার্যকরী ওষুধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।

Conium:(30,200,1m,10m,CM)
স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অধিক কিন্তু অক্ষম।সহবাস কালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময় লিঙ্গ শিথিল হইয়া পড়ে।
Natrum carbonicum:(30,200,1m,10m,CM)
যে-সব নারীদের পুরুষরা আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) অর্থাৎ অল্পতেই তাদের তৃপ্তি ঘটে যায় এবং পরে আর সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হলো নেট্রাম কার্ব। এই কারণে যদি তাদের সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়), তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাবে।

Natrum Mur: 3x,6x,CM
স্ত্রী লোক দেখিলে কথা বলিলে এমন কি মনে মনে ভাবিলেও অসাড়ে বীর্যপাত হয়ে যায়।
Calcarea Carb: (30,200,1m,10m,CM)
ক্যালকেরিয়া কার্ব যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বিশেষত মোটা, থলথলে স্বাস্থ্যের অধিকারী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।

Kali Bromatum:3x,6x
বিষন্নতা জনিত কারণে যৌন দুর্বলতায় এটি প্রযোজ্য। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণগুলি হলো স্মরণশক্তির দুর্বলতা, স্মায়বিক দুর্বলতা, হাত দুটি সর্বদাই ব্যস্ত থাকে, মৃগী ইত্যাদি ইত্যাদি।

Kali Phos: 3x,6x,12x
অতিরিক্ত বীর্যক্ষয় জনিত অনিদ্রা,কাজ কর্মে অনিচ্ছা,জননেন্দ্রিয় দুর্বলতা।
Silicea:200,1m
স্বপ্নদোষ,হস্তমৈথুন,অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস ইত্যাদি কুফল এর জন্য। সাইলেসিয়ার রোগীর হাতের এবং পায়ের তালুতে প্রচন্ড ঘাম ও সেই সাথে ঘামে প্রচন্ড দুর্গন্ধ দেখতে পাওয়া যায় ।

***সাবধানতা: রেজিস্ট্রার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিত কোন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন করা থেকে বিরত থাকুন।

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২০

তেজোদীপ্ত ও বলবান পুরুষের জন্য আদর্শ টনিক-আমব্রা ১০০০ ড্রপস


আমব্রা ১০০০ ড্রপস: পুরুষের বিশেষ অঙ্গের শিথিলতা, লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যা, অকাল বীর্যপাত, পুরুষদের  সাধারণ দুর্বলতা, নার্ভের ক্লান্তি, অসুস্থতা পরবর্তী দুর্বলতা, এবং স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা

কার্যক্ষমতাঃ বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষিত হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সমন্বয়ে আমব্রা ১০০০ ড্রপস প্রস্তুত করা হয়েছে এটি স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে পুরুষদেহের হরমোন ব্যবস্থাকে সংশোধন করে, যা পুরুষের বলিষ্ঠ যৌন অঙ্গ তৈরি করতে সহায়তা করে, অকাল বীর্যপাতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে, তদুপরি হজম ব্যবস্থা এবং মস্তিষ্কের দুর্বলতাগুলিকে দূর করে স্বাভাবিক করে তোলে আমব্রা ১০০০ ড্রপস সাধারণ টনিক হিসাবেও নেওয়া যেতে পারেএই কম্বিনেশন ঔষধটি তৈরীতে ব্যবহার করা হয়েছে-

আমব্রা গ্রিসিয়া: শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তি দূর করে, হৃৎস্পন্দনকে স্বাভাবিক করে, বিশেষ মূহুর্তে শারিরীক ও মানসিক দৃঢ়তা আনয়নের মাধ্যমে অধিক সময় পর্যন্ত বীর্যকে ধরে রাখে অর্থাৎ প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন বা অকাল বীর্যপাত রোধ করে
 
আমব্রা গ্রিসিয়া
দামিয়ানা: স্নায়ুবিক দুর্বলতাজনিত ধ্বজভঙ্গ, দ্রুত বীর্যপাত, লিঙ্গের শিথিলতা, অধিক স্বপ্নদোষ, প্রস্রাব-পায়খানা করার সময় অজ্ঞাতসারে ধাতুপতন ইত্যাদি ক্ষেত্রে দামিয়ানা খুবই কার্যকরী

হাইপোফাইসিস: থাইরয়েড গ্রন্থির নিয়ন্ত্রণ করে, বাধাগ্রস্ত থাইরয়েড ও যৌন গন্থিকে  বিকশিত করে।

জিনসেং: পুরুষের লিংগোত্থান জনিত সমস্যা সমাধানে জিনসেং এর ব্যবহার সর্বজন বিধিত।পুরুষের লিঙ্গে corpus cavernosum নামক বিশেষ ধরনের টিস্যু থাকে।নাইট্রিক অক্সাইডের উপস্থিতিতে এই টিস্যু রক্তে পরিপূর্ণ হয়ে লিংগোত্থান ঘটায়। জিনসেং সরাসরি দেহে নাইট্রিক অক্সাইডের পরিমান বাড়িয়ে লিংগোত্থানে সহায়তা করে।ঘন ঘন শুক্রক্ষয় জনিত দুর্বলতা দূর করে যৌনাঙ্গের স্নায়ু গুলির দুর্বলতা দূর করে

সেলেনিয়াম: যাদের বীর্য পাতলা ও দ্রুত স্খলন হয় এবং অল্পতেই লিঙ্গ শিথিল হয়ে পড়ে, তাদের জন্য সেলেনিয়াম অব্যর্থ মহৌষধ।হস্ত মৈথুন, বিকৃত যৌন অভ্যাস ও অত্যধিক স্বপ্নদোষের কারণে যৌনশক্তি হ্রাসজনিত সমস্যা সমাধান করে ও যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি করেসেলেনিয়াম মাথার চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যাও রোধ করতে পারে।

টেস্টিস: টেস্টিস ঔষধটি পুরুষের পুরুষোচিত শক্তি এবং প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও শরীরের সাধারণ বিকাশে সহায়তা করে।যারা অল্প বয়সে যৌন শক্তি হারিয়েছেন, অনিচ্ছায় বা সামান্য উত্তেজনায় যাদের বীর্যপাত হয়ে যায় টেস্টিস ঔষধটি তাদের পরম বন্ধু।

ওহিমবিনাম: ওহিমবিনাম সুপ্রাচীনকাল হতে ব্যবহার হয়ে আসা একটি মূল্যবান ঔষধ।যৌবনের শুরুতেই যারা নিজের উপর অত্যধিক যৌন অত্যাচার করে যৌনশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন, লিঙ্গ ছোট, আগা মোটা, গোড়া চিকন, তুলার মত নরম হয়ে গেছে, অবস্থা এমন হয়ে গেছে যে, মেয়েদের দিকে তাকাতে পর্যন্ত ভয় হয়, বিয়ের কথা শুনলেই ভয়ে শিউরে উঠেন।ওহিমবিনাম সেই ভয় দূর করতে পারে।এটি নিয়মিত কিছুদিন সেবনে লিঙ্গ সতেজ, শক্তিশালী ও বলবান হয়। যৌন শক্তি ফিরে আসে

আমব্রা-১০০০ ড্রপসটি নিয়মিত সেবনে পুরুষের প্রধান প্রধান সমস্যা সমূহ দূর করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।