শনিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২২

দ্রুত বীর্যপাত কি? কেন হয় দ্রুত বীর্যপাত? দ্রুত বীর্যপাতরোধে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ সমূহ।

দ্রুত বীর্যপাত বলতে চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনকে বুঝানো হয়ে থাকে। যদি নিয়মিত নারী-পুরুষের মধ্যে  ইচ্ছার চেয়ে দ্রুত বীর্যপাত হয়, অর্থাৎ যৌন সঙ্গম শুরু করার  আগেই কিংবা যৌন সঙ্গম শুরুর একটু পরেই  যদি  বীর্যপাত হয়ে  যায় তাহলে যে সমস্যাটি হয় তার নাম দ্রুত বীর্যপাত বা প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন। 

প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন একটি সাধারণ যৌন  সমস্যা, প্রায় মানুষের মাঝেই এ সমস্যাটি খুঁজে পাওয়া যায়।  তবে  সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার  মাধ্যমে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

উপসর্গঃ পুরুষের বীর্যপাত হতে কতটা সময় নেবে সে ব্যাপারে চিকিৎসা বিজ্ঞানে আদর্শ মাপকাঠি বলতে কিছু নেই। দ্রুত বীর্যপাতের প্রাথমিক লক্ষণ হচ্ছে নারী-পুরুষ উভয়ের চরম পুলক লাভের আগেই পুরুষটির বীর্যপাত হয়ে যাওয়া। এ সমস্যা সব ধরনের যৌনতার ক্ষেত্রেই হতে পারে। যেমন হস্তমৈথুন কিংবা যৌন মিলনের সময়।


কারণঃ ঠিক কি কারণে দ্রুত বীর্যপাত হচ্ছে তা খুঁজে বের করতে বিশেষজ্ঞগণ এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছেন। একসময় ধারণা করা হতো, এটি সম্পূর্ন মানসিক ব্যাপার। কিন্তু বর্তমানে জানা যায় যে, দ্রুত বীর্যপাত হওয়া একটি জটিল বিষয় এবং যার সংগে মানসিক এবং জৈবিক দুটোরই সম্পর্ক রয়েছে।

মানসিক কারণঃ কিছু চিকিৎসক মনে করেন যে, প্রথম বয়সে যৌন অভিজ্ঞতা ঘটলে তা এমন একটি অবস্থায় পৌঁছে যে, পরবর্তী যৌন জীবনে সেটি পরিবর্তন করা কঠিন হতে পারে। যেমন-

১। লোকজনের দৃষ্টিকে এড়ানোর জন্য তড়িঘড়ি করে চরম পুলক লাভ করার চেষ্টা।

২। অপরাধবোধ, যার কারণে যৌনক্রিয়ার সময় হঠাৎ করেই বীর্যপাত ঘটে যাওয়া। অন্য আরও কিছু বিষয় দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে। এসবের মধ্যে আছে-

পুরুষাঙ্গের শিথিলতাঃ যেসব পুরুষ যৌনমিলনের সময় তাদের লিঙ্গের উত্থান ঠিকমত হবে কিনা কিংবা কতক্ষণ লিঙ্গ উত্থিত অবস্থায় থাকবে এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করলেও দ্রুত বীর্যপাত ঘটে।

দুশ্চিন্তাঃ অনেক পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের একটি প্রধান কারণ দুশ্চিন্তা। যৌনকর্ম ঠিকমত সম্পন্ন করতে পারবেন কিনা তা নিয়েই যত দুশ্চিন্তা। আবার অন্য কারণেও হতে পারে। দ্রুত বীর্যপাতের আরেকটি প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত উত্তেজনা।

জৈবিক কারণঃ বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, কিছু সংখ্যক জৈবিক বা শারীরিক কারণে দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে-

১। হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা।

২। মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদান বা নিউরোট্রান্সমিটারের অস্বাভাবিক মাত্রা।

৩। বীর্যস্খলনে অস্বাভাবিক ক্রিয়া।

৪। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা।

৫। প্রোস্টেট অথবা মূত্রনালীর প্রদাহ ও সংক্রমণ।

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ঃ দ্রুত বীর্যপাতে ঝুঁকি বাড়াতে পারে যেসব বিষয়-

পুরুষাঙ্গের শিথিলতাঃ লিঙ্গ বা পেনিস ঠিকমত উত্থিত না হওয়া বা মাঝে মাঝে উত্থিত হওয়া অথবা উত্থিত হয় কিন্তু বেশিক্ষণ হট অবস্থায় না থাকা। এটি দ্রুত বীর্যপাত ঘটানোর ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে পারে। যৌন সঙ্গমের সময় লিঙ্গের উত্থান বা পেনিসের হট অবস্থা বেশিক্ষণ থাকবে না এমন ভয়ও দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে।

স্বাস্থ্যগত সমস্যাঃ যদি এমন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে যার কারণে যৌন মিলনের সময় উদ্বেগ অনুভব করে যথা-হৃদরোগ থাকে, এতেও দ্রুত বীর্যপাতের ঘটনা ঘটতে পারে।

মানসিক চাপঃ আবেগজনিত কারণ কিংবা মানসিক চাপ দ্রুত বীর্যপাতের ব্যাপারে ভূমিকা রাখে।

জটিলতাঃ যদিও দ্রুত বীর্যপাত আপনার মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ায় না কিন্তু এটি ব্যক্তিগত জীবনে ধ্বস নামাতে পারে। যেমন-সম্পর্কে টানাপোড়েন। দ্রুত বীর্যপাতের সাধারণ জটিলতা হলো যৌন সঙ্গিনীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি।

প্রতিরোধঃ দ্রুত বীর্যপাতের কারণে যৌন সঙ্গিনীর সঙ্গে ঠিকমত যোগাযোগ বন্ধন গড়ে উঠতে পারে না। চরম পুলকে পৌঁছতে পুরুষের তুলনায় নারীর দীর্ঘ উদ্দীপনার প্রয়োজন হয় আর এই পার্থক্য একটি দম্পত্তির মধ্যে যৌন অসন্তষ্টি ঘটাতে পারে। অনেক পুরুষ যৌন মিলনের সময় চাপ অনুভব করেন বলে দ্রুত বীর্যপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

নারী ও পুরুষ একে অপরকে বুঝতে পারলে দুজনের জন্যই যৌন সুখ লাভ করা সহজ হয়। এতেকরে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তাও দূর হয়। যদি সঙ্গিনীর কাছ থেকে যৌন সুখ লাভ না করেন তাহলে তার সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করতে হবে। দুজনের মধ্যে সমস্যাটি কোথায় তা খুঁজে বের করতে হবে এবং প্রয়োজনে একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকে+র সাহায্য নিতে হবে। এক্ষেত্রে সব লজ্জা ও জড়তা ঝেড়ে ফেলে খোলা মনে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। এ সমস্যা খুবই সাধারণ এবং এর নির্ভরযোগ্য চিকিৎসাও রয়েছে।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ এ রোগের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিতে এগনাস কাস্ট, টারনেরা, লাইকোপোডিয়াম, ট্রিবোলাস, ডামিয়ানা, টেস্টিস, এসিড ফস, নুফার লুটিয়াসহ কয়েকটি ঔষধ রয়েছে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় একেক রোগীর একেক ধরনের ঔষধ প্রয়োগের প্রয়োজন হতে পারে। রোগী, রোগের কারণ ও লক্ষণ এবং মাত্রাভেদে এসব ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। তাই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ঔষধ সেবন করা উচিত নয়।

দ্রুত বীর্যপাত প্রতিরোধকারী ঔষধ সমূহঃ 

Caladium Seg (ক্যালাডিয়াম সেগ)- বহুদিন যাবৎ স্বপ্নদোষ হতে হতে লিঙ্গ বা পেনিস শিথিল হয়ে গেছে, স্ত্রী সহবাসের বা সেক্স করার ইচ্ছা অত্যান্ত প্রবল কিন্তু ক্ষমতাহীন। সহবাসকালে বা সেক্স করার সময়ে লিঙ্গ শক্ত বা হট হয় না, যদিও সামান্য রতিক্রিয়াতেই বীর্যপাত হয়ে যায়।

Conium (কোনিয়াম)- স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অত্যাধিক কিন্তু অক্ষম, সহবাসকালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময়ও লিঙ্গ শিথিল হয়ে যায়।

Lycopodium (লাইকোপোডিয়াম)- হস্তমৈথুন বা মাস্টারব্রেট, স্বপ্নদোষ, অথবা অত্যাধিক স্ত্রী সহবাসের কারণে ধ্বজভঙ্গ, স্ত্রীকে সোহাগ-আলিঙ্গন করলেও লিঙ্গ শক্ত বা হট হয় না।

Selenium (সেলেনিয়াম)-শুক্র তারল্য (বীর্য পাতলা) রোধে কার্যকর।

Agnus Castus (এগনাস কাস্ট)- অবৈধভাবে বা অপব্যবহারের মাধ্যমে বীর্যক্ষয়জনিত কারণে যারা ধ্বজভঙ্গ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে তাদের জন্য।

Anacardium (এনাকার্ডিয়াম)- স্মরণ শক্তিহীন রোগীদের প্রস্রাবের আগে বা পরে ধাতুপাত হয়ে ধ্বজভঙ্গ হলে।

Acid Phos (এসিড ফস)- স্ত্রী সহবাস জনিত মাথা ঘুরা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, লিঙ্গ শিথিল, অতি শীঘ্রই বীর্যপাত।

Carbonium Sulph (কার্বনিয়াম সালফ)- অজান্তে অথবা অনিচ্ছা সত্ত্বেও বীর্যপাত এবং স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা হয় না।

Salix Nigra (স্যালিক্স নায়াগ্রা)- স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা প্রবল কিন্তু সহবাসের ক্ষমতাহীন।

Titanium (টিটেনিয়াম)- সঙ্গমে অতি শীঘ্রই বীর্যপাত ও বীর্য পাতলা।

Nuphar Lut (নুফার লুটিয়া)- কাম উত্তেজনার হট কথা-বার্তায় কিংবা উত্তেজনায় অসাড়ে বীর্যপাত।

Turnera (টারনেরা)- শুক্রবর্ধক ঔষধ।

Avana Sat (এভেনা স্যাটাইভা)- হস্তমৈথুন বা মাস্টারব্রেট, স্বপ্নদোষ বা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাসজনিত শারীরিক দুর্বলতার জন্য উপকারী।

Medorrhinum (মেডোরিনাম)- গণরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ধ্বজভঙ্গ হলে প্রথমে এই ঔষধটি সেবন করে পরে লক্ষণ অনুযায়ী অন্য ঔষধ সেবন করতে হয়।

Phosphorus (ফসফরাস)- সুন্দর লম্বা ছিপছিপে গড়ন, চালাক, সামান্য কারণে মন খারাপ হয়ে যায়, হাঁটার সময় সামান্য নুয়ে চলে এই ধাতুর রোগীর হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ কিংবা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাসে বা অসাড়ে শুক্রপাত ইত্যাদি কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে ফসফরাসে উপকৃত হতে পারে।

    দ্রুতবীর্যপাত সমস্যায় উপরে আলোচিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গুলো লক্ষণ ভিত্তিক পরিমিত মাত্রায় সেবনে  স্বাভাবিক যৌন জীবন ফিরিয়ে দিতে দারুন কার্যকর। 

 

 

শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২১

পুরুষের পরম বন্ধু জার্মান হোমিওপ্যাথিক ঔষধ: R-41

 

বিশ্বখ্যাত জার্মান হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ডাঃ রেকওয়েগ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত R-41 ঔষধটি পুরুষের জন্য একটি আদর্শ টনিক। জীবনীশক্তির অভাব, অকাল বীর্যপাত, ধ্বজ ভঙ্গ, ধাতু দূর্বলতা, বিশেষত পুরুষদের মধ্যে সাধারণ দুর্বলতা, রোগভোগজনিত দূর্বলতা, অতিরিক্ত শারীরিক বা মানসিক পরিশ্রমজনিত দূর্বলতা, অতিরিক্ত উত্তেজনা, স্নায়বিক ক্লান্তি এবং বার্ধক্যজনিত নানা রোগের বিরুদ্ধে R-41 অত্যান্ত ফল প্রদেয়।

R-41

কার্যকারিতাঃ

·         পুরুষত্বহীনতা এবং কামনার অভাবের ক্ষেত্রে আদর্শ টনিক হিসাবে কাজ করে

·         প্রাণশক্তি বৃদ্ধি করে এবং শারিরীক দুর্বলতা হ্রাস করে

·         অসুস্থতাজনিত দূর্বলতার ক্ষেত্রে এটি কার্যক্রর ভুমিকা পালন করে।

·         যৌনাঙ্গকে শক্তিশালী করে এবং স্নায়বিক ক্লান্তি হ্রাস করে।

·         অকাল বীর্যপাত রোধ করে।

এছাড়াও R-41 কম্বিনেশটিতে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন গুলো যৌন দুর্বলতা দূর করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে।

এসিড ফসঃ অতিরিক্ত দুর্বলতা, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা বিভিন্ন রোগের ফলে যেমন- সুগার, ডায়াবেটিস বা অন্যান্য রোগের ফলে পুরুষদের ধাতু দুর্বলতা, লিঙ্গের শিথিলতা ইত্যাদি দেখা দেয় তাহলে এসিড ফস খুব ভালো কাজ করে। হারানো শক্তি পুনঃরুদ্ধারে এসিড ফস দারুন কার্যকরী।

এগনাস কাস্টঃ অতিরিক্ত হস্তমৈথুন বা অতিরিক্ত সহবাসের ফলে যদি ধ্বজভঙ্গ, লিঙ্গের বক্রতা, লিঙ্গের দুর্বলতা, লিঙ্গ ছোট হয়ে যাওয়া, স্বপ্নদোষ, উত্তেজনা না আসা বা লিঙ্গ শক্ত না হওয়া, তাছাড়া যদি অজ্ঞাতসারে ধাতু নির্গত হয় সেই সমস্ত দুর্বলতা দূর করতে এগনাস কাস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

চায়নাঃ রক্ত, রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া, স্নায়ু, দৈহিক নিঃসরণ-হজম ক্রিয়ার যন্ত্রসমূহ, যকৃত, প্লীহা, শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি ইত্যাদিকে শক্তিশালি করে তুলে। অতিরিক্ত ধাতু ক্ষয়জনিত রোগের ক্ষেত্রে চায়নার ব্যবহার ফলপ্রদ, উৎকণ্ঠা, বিষন্নতা, জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা, মানসিক অবসাদ ইত্যাদি দূর করে।

কোনিয়ামঃ স্ত্রী সহবাসের প্রবল ইচ্ছা থাকলেও শক্তিহীনতার দরুন সহবাসে অক্ষমতা দেখা দিলে কিংবা সহবাসকালে সামান্য সোহাগ-আলিঙ্গনেই লিঙ্গ নিস্তেজ হয়ে পড়লে কোনিয়াম এক্ষেত্রে অসাধারণ ফল প্রদেয়।

ডামিয়ানাঃ স্নায়বিক দুর্বলতার কারণে ধ্বজভঙ্গ, দ্রুত বীর্যপাত, লিঙ্গের শিথিলতা, স্বপ্নদোষ, প্রস্রাব-পায়খানা করার সময় অজ্ঞাতসারে ধাতু বের হয়ে যাওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে ডামিয়ানা খুবই কার্যকরী।

ফসফরাসঃ অতি-ইন্দ্রিয়ভোগ, ক্রোধ, ভয়, বিরক্তি, দুঃখ, মানসিক পরিশ্রম, উত্তেজনা, উদ্বেগ ইত্যাদি কারণে দুর্বলতা তৈরী হলে ফসরাস একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ।

সিপিয়াঃ দেহের সেলুলার ফাংশনকে শক্তিশালী করে তুলে। ক্লান্তি ও হতাশা দূর করে।

টেস্টিসঃ টেস্টিস ঔষধটি পুরুষের পুরুষোচিত শক্তি এবং প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও শরীরের সাধারণ বিকাশে সহায়তা করে।যারা অল্প বয়সে যৌন শক্তি হারিয়েছেন, অনিচ্ছায় বা সামান্য উত্তেজনায় যাদের বীর্যপাত হয়ে যায় টেস্টিস ঔষধটি তাদের পরম বন্ধু। দেহে পুরুষালি হরমোন তথা পুরুষের যৌন সক্ষমতা নিয়ন্ত্রকারী টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধিতে টেস্টিস দারুন কার্যকর।

ঔষধটি নিয়মিত সেবনে পুরুষের যৌন সম্পর্কিত সমস্যা সমূহ দূর করে স্বাভাবিক যৌন জীবন ফিরে পেতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। বিশ্বখ্যাত জার্মান হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন R-41 সত্যিকার অর্থেই পুরুষের পরম বন্ধু।


বুধবার, ১ জুলাই, ২০২০

যৌন সমস্যায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

যৌন সমস্যার লক্ষন ভেদে চিকিৎসায় কিছু হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনঃ 

Nux Vomica: (30,200,1m,10m,CM)
নাক্স ভমিকা ঔষধটি যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ বিশেষত যারা শীতকাতর, যাদের পেটের সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকে, শারীরিক পরিশ্রম কম করে, মানসিক পরিশ্রম বেশী করে ইত্যাদি ইত্যাদি।

Lycopodium clavatum: (30,200,1m,10m,CM)
লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি খেতে পারেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব খারাপ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন না কোন সমস্যা থাকবেই, অকাল বার্ধক্য, সকাল বেলা দুর্বলতা ইত্যাদি ইত্যাদি।


Homoeopathic Medicine

Sabal serrulata:Q,3x
সেবাল সেরুলেটা পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি হজমশক্তি, ঘুম, শারীরিক শক্তি, ওজন (কম থাকলে) ইত্যাদিও বৃদ্ধি পায়। এটি মেয়েদেরও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে এবং ক্ষুদ্রাকৃতির স্তনবিশিষ্ট মেয়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করে থাকে। বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত যে-কোন সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস নির্মূল করতে পারে।

Salix nigra: Q,3x
মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা। এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে, এই ঔষধ একই সাথে তাদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন, এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে।

Selenium: (3x,4x,30,200,1m,10m,CM)
যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।

Titanium: 3x,4x
সঙ্গমে অতি শীঘ্রই বীর্যপাত ও বীর্যপাতলা।
Agnus Castus: (3x,30,200,1m,10m,CM)
সাধারণত গনোরিয়া রোগের পরে যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।

Staphisagria: (30,200,1m,10m,CM)
পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি খেতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।

Moschus Moschiferus: Q,2x,3x,6
ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

Phosphoricum Acidum:(Q,3x,1m,10m,CM)
সাধারণত টাইফয়েড বা এরকম কোন মারাত্মক রোগের ভোগার কারণে, মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ ইত্যাদি কারণে যৌন ক্ষমতা কমে গেলে অথবা একেবারে নষ্ট হয়ে গেলে (এবং সাথে অন্য আরো যে-কোন সমস্যা হউক না কেন) এসিড ফস আপনাকে সব ফিরিয়ে দিবে।

Caladium seguinum:(30,200,1m,10m,CM)
যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীরয নির্গত হয় না বা যাদের বীরয তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য কার্যকরী।

Origanum marjorana:Q,3x
ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।

Cantharis:Q,3x,6
Cantharis ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ এবং এ ঔষধ টি প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ায়একটি কার্যকরী ওষুধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।

Conium:(30,200,1m,10m,CM)
স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অধিক কিন্তু অক্ষম।সহবাস কালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময় লিঙ্গ শিথিল হইয়া পড়ে।
Natrum carbonicum:(30,200,1m,10m,CM)
যে-সব নারীদের পুরুষরা আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) অর্থাৎ অল্পতেই তাদের তৃপ্তি ঘটে যায় এবং পরে আর সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হলো নেট্রাম কার্ব। এই কারণে যদি তাদের সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়), তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাবে।

Natrum Mur: 3x,6x,CM
স্ত্রী লোক দেখিলে কথা বলিলে এমন কি মনে মনে ভাবিলেও অসাড়ে বীর্যপাত হয়ে যায়।
Calcarea Carb: (30,200,1m,10m,CM)
ক্যালকেরিয়া কার্ব যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বিশেষত মোটা, থলথলে স্বাস্থ্যের অধিকারী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।

Kali Bromatum:3x,6x
বিষন্নতা জনিত কারণে যৌন দুর্বলতায় এটি প্রযোজ্য। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণগুলি হলো স্মরণশক্তির দুর্বলতা, স্মায়বিক দুর্বলতা, হাত দুটি সর্বদাই ব্যস্ত থাকে, মৃগী ইত্যাদি ইত্যাদি।

Kali Phos: 3x,6x,12x
অতিরিক্ত বীর্যক্ষয় জনিত অনিদ্রা,কাজ কর্মে অনিচ্ছা,জননেন্দ্রিয় দুর্বলতা।
Silicea:200,1m
স্বপ্নদোষ,হস্তমৈথুন,অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস ইত্যাদি কুফল এর জন্য। সাইলেসিয়ার রোগীর হাতের এবং পায়ের তালুতে প্রচন্ড ঘাম ও সেই সাথে ঘামে প্রচন্ড দুর্গন্ধ দেখতে পাওয়া যায় ।

***সাবধানতা: রেজিস্ট্রার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিত কোন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন করা থেকে বিরত থাকুন।

সোমবার, ৮ জুন, ২০২০

করোনা ভাইরাস মহামারি প্রেক্ষাপট : হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও করণীয়।



ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম
বিএইচএমএস (ঢাবি), এমপিএইচ, পিজিডি, পিজি(হোম)
বিশ্বে মহামারি আকারে দেখা দেয়া করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধ, করণীয় এবং এতদসংক্রান্ত পূর্বাপর লক্ষণসমূহের (উপসর্গ) রোগিদের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিষয়ে সময়ের প্রয়োজনে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য, পরামর্শ ইতিকথা তুলে ধরার চেষ্টা করছি
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এখন একটি আতংকের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসায় বিশেষ কোন ঔষধ বা প্রতিষেধক আজ অবধি আবিষ্কৃত হয় নাই বিধায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( WHO) এটাকে Emergency Health Issue বা মহামারি হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। বাংলাদেশ সরকারও করোনা ভাইরাস মহামারি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে যথাপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত কার্যক্রমের সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছেন। মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ সরকারের সকল বিভাগের উর্দ্ধোতন কর্মকর্তাবৃন্দ, চিকিৎসকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট সকল কর্মচারিগণ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে স্ব স্ব ক্ষেত্রে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছেন


ডা. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সুনিদিষ্ট কোন ঔষধ না থাকায় রোগিকে আইসোলেশনে বা কোয়ারেন্টাইনে রেখে লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। নভেল করোনা ভাইরাস এর ভয়াবহতা মোকাবেলায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক প্রতিরোধ কার্যক্রম, স্বাস্থ্য পরামর্শ, স্বাস্থ্য বিধি-বিধান, নিয়মাবলি পালন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো কার্যকর হিসাবে প্রতিমান
১। মাস্ক পড়া, ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করা।
২। হাত দিয়ে নাক, চোখ মুখ স্পর্শ না করা।
৩। নিয়মিত শরীরে তাপমাত্রা পরিমাপ করা।
৪। কুসুম গরম পানি পান করা গড়গড়া করা।
৫। জ্বর, সর্দি, হাঁচি,কাশি, গলাব্যথা শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা।
৬। জনসমাগম এড়িয়ে চলা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা।
৭। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকার স্বাস্থ্য বিভাগের নিদের্শনা অনুসরণ করা।
০৮। স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা
তাছাড়াও করোনা ভাইরাসসহ অন্যান্য ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ামুক্ত জীবন-যাপনের লক্ষে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহের প্রতি গুরুত্ব দেয়া অতীব জরুরি। যা আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে ( Immune System) শক্তিশালী করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম
১। নিয়মিত কম বেশি ব্যায়াম করা এবং কমপক্ষে ৩০মিনিট হাটা চলা করা।
২। প্রয়োজনীয় বিশ্রাম গ্রহণ করা
৩। ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা।
৪। বেশি বেশি ভিটামিন সি জিংক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
৫। কার্বহাইড্রেট ফ্যাট জাতীয় খাবার পরিহার করা।
৬। প্ল্যান্ট এনিম্যাল প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা।
৭। মুগ মুশুরির ডাল মেশানো খিচুরী খাওয়া যেতে পারে
করোনা ভাইরাস বা মহামারি রোগ প্রতিরোধ এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :
বিশ্ব মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভূমিকা গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবার মান নিশ্চিত করার লক্ষে প্রচলতি চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বীকৃতি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতির সমন্বয় প্রয়োজন। ডা. হ্যানিম্যান কর্তৃক ১৭৯০ সালে জার্মানিতে হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা আবিষ্কার হলেও আমাদের এই উপমহাদেশের হোমিওপ্যাথির আগমন ঘটে ১৮৩৯ সালে ডা. জন মার্টিন হোনিগবার্গারের আগমনে। তৎকালিন ভারত বর্ষের পাঞ্জাবে এবং পরবর্তিতে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহর হয়ে আমাদের এই অঞ্চলে হোমিপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতির বিস্তৃতি ঘটে। আজ হোমিওপ্যাথি বিশ্ব মানুষের নিদানকালের বন্ধু প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জটিল মহামারি রোগে এই চিকিৎসা পদ্ধতি দ্বারা বৃহত্তম জনগোষ্ঠি স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে আসছে। নিরাপদ, সুলভ, স্বল্পমূল্য, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন গ্রহণযোগ্য কার্যকারিতার কারণে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা উন্নত উন্নয়নশীল দেশসহ বিশ্বের একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে বিস্তার লাভ করেছে
হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। ডাঃ হ্যানম্যিান, চকিৎিসা বজ্ঞিানরে জনক হপিোক্রটেসিরে ‘ Like Cures Like’ এবং ‘ a minimum number of medicine’ ত্বত্তরে সাথে minimum dose, individualized medicine, concept of vital force এবং doctrine of dynamization of medicinal substance ত্বত্ত যুক্ত করে ১৭৯৬ সালে হোমিওপ্যাথিকে সবার সামনে তুলে ধরেন। হোমিওপ্যাথিতে রোগির সার্বদৈহিক লক্ষণ বিশ্লেষণ করে ঔষধ নির্বাচন করা হয়ে থাকে। একজন রোগির ব্যক্তি স্বাতস্ত্র পরিপূর্ণ রোগ বৃওান্ত গ্রহণ করে ঔষধ নির্বাচন করা হয়ে থাকে। কোন একটি মহামারি রোগের লক্ষণগুলো এলাকা বা অঞ্চলে আক্রান্ত রোগিদের মধ্যে কম বেশি একই রকম হয় পরির্পূণ রোগবৃত্তান্ত গ্রহণের পর যদি বশে কয়কেজন রোগরি ক্ষেত্রে একই ঔষধ নর্বিাচতি হয় তাহলে ঔষধ উক্ত ভৌগলকি এলাকার জন্য নির্ধারিত ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে আর নির্ধারিত ঔষধটিকে Genus Epidemicus হিসেবে অভহিতি করা হয় মহামারি সংক্রমনের কয়েকদিনের মধ্যে এই ঔষধটি নর্বিাচন করা হয়। যা বিগত দুইশত বছরের অধিক সময় ধরে প্রমাণিত। চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ১৭৯০ সালে হোমিওপ্যাথি আবিষ্কারের পর থেকে এই চিকিৎসা ধারায় অনেক জটিল মহামারি  রোগের চিকিৎসার সাফল্য অর্জনের ইতিহাস আছে। মহামারির রোগের প্রতিষেধক হিসাবে জেনাস ইপিডেমিকাস ( Genus Epidemicus) হোমিওপ্যাথি প্রিভেনটিভ মেডিসিন। হোমওিপ্যাথকি ওষুধ বভিন্নি সময়ে টাইফয়েড, কলেরা, ইয়েলো ফিভার, স্কারলটে ফভিার, ছোট পক্স, ডিপথেরিয়া, স্প্যানিশ ফ্লু, মেনিনজাইটসি এবং পোলিও সহ বেশ কয়কেটি মহামারীর চিকিৎসায় সফলতা দেখায় যা উনশি-শতকে হোমওিপ্যাথিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে বিশেষ জনপ্রিয় করে তোলে ডা. হ্যানিম্যানের অর্গানন অব মেডিসিন বইয়ের ষষ্ঠ সংস্করণের ১০০ থেকে ১০৪ নং সূত্রে ইপিডেমিক ডিজিজ ( Epidemic Diseases )সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। মহামারি রোগে প্রচলিত চিকিৎসা ধারার পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার সফলতা নিয়ে কিছু তথ্য ঘটনা উপস্থাপন করছি :

১। ১৭৯৯ ১৮০১ সালে মহামারি আকারে দেখা দেয়া স্কারলেট ফিভারে হোমিওপ্যাথি ঔষধ বেলাডোনা-৩০ প্রয়োগ করে
ডা. হ্যানিম্যান অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থার চেয়ে রোগির মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন।
২। ১৮১৩ সালে জার্মানির টাইফাস ফিভার মহামারিতে প্রচলিত চিকিৎসা ধারায় মৃত্যুর হার ছিল যেখানে ৩০% সেখানে
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ছিল %
৩। ১৮৩১ সালে অস্ট্রিয়ার কলেরা মহামারিতে প্রচলিত চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ৪০% থাকলেও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় মৃত্যুর
হার ছিল মাত্র ১০%
৪। ১৮৪৯ সালের যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিনাটির কলেরা মহামারিতে হোমিওপ্যাথির সাফল্য ৯৭% প্রচলিত চিকিৎসায় সাফল্য ছিল
মাত্র ৪০% থেকে ৫০%
৫। ১৮৫৪ সালে লন্ডনের কলেরা মহামারিতে প্রচলিত চিকিৎসায় মুত্যুর হার ছিল ৫৯.% আর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় মৃত্যুর
হার ছিল মাত্র %
৬। ১৮৫৫ সালে আফ্রিকার রিও- কলেরা মহামারিতে প্রচলিত চিকিৎসায় মুত্যুর হার ছিল ৪০% থেকে ৬০% আর
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ছিল মাত্র %
৭। ১৮৬২ থেকে ১৮৬৪ সালের নিউইয়র্ক ডিফথেরিয়ার সংক্রমণে প্রচলিত চিকিৎসায় মুত্যুর হার ছিল ৮৩.% আর
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ছিল মাত্র ১৬.%
৮। ১৮৭৮ সালে আমেরিকার ইউলো ফিবার মহামারিতে প্রচলিত চিকিৎসায় মুত্যুর হার ছিল ১৫.% আর হোমিওপ্যাথি
চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ছিল মাত্র %
৯। ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারিতে প্রচলিত চিকিৎসায় মুত্যুর হার ছিল ২৮.% আর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় মৃত্যুর
হার ছিল মাত্র .০৫%
তাছাড়াও ১৯৭৪ ব্রাজিলের ম্যানিনজাটিস, ১৯৭১ সালের ভারতের জাপানিজ এনকেফালাইটিস, ২০০৭ সালে কিউবার ল্যাপটোস্পাইরোসিস এবং ২০০৯ সালে ভারতে সোয়ান ফ্লু ইত্যাদি রোগ ইপিডিমিক ( Epidemic ) আকারে দেখা দেয়া স্বাস্থ্য ঝুকিতে হোমিওপ্যাথির সফলতা ছিল শীর্ষে মৃত্যুর হার ছিল না বললেই চলে। স্মরণকালের ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া রোগের প্রার্দুভাবেও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার সাফল্য রয়েছে। ১৯৯৫ সালে কিউবাতে করোটোকঞ্জাকটিভাইটিস রোগে এবং ২০০৭ সালে ভারতের কেরালাতে চিকুনগুনিয়া রোগে হোমিওপ্যাথি ওষুধ প্রয়োগ করে সফলতা পাওয়া যায়
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমে হোমিওপ্যাথির ভূমিকা উল্লেখযোগ্য আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের অধীনে পরিচালিত ২০১৩ সালের একটি বেসরকারি জরিপে দেখা যে, বাংলাদেশের মোট জনগণের মধ্যে ২৯.% জনগন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে থাকে।বর্তমান পরিস্থিতিতে COVID-19 (করোনা ভাইরাস) চিকিৎসায় মূল চিকিৎসা ধারা লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা সেবা প্রদানে চিকিৎসকদেরকে পরার্মশ দিচ্ছি। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থা যার মৌলকি ভিত্তিই লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা, বৈশ্বিক এই দূর্যোগ মোকাবেলায় গুরুত্বর্পূন ভূমিকা রাখতে পারে।COVID-19 (করোনা ভাইরাস) সংক্রমণ বা এতদসংক্রান্ত লক্ষণের রোগীদের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ বিবেচনা করা যেতে পারে

চীনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভয়াবহতা মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন দেশ জরুরি অবস্থা ঘোষণাসহ লকডাউন, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, হোম কোয়ারেন্টাইন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার ব্যবস্থা উদ্যোগ নিয়েছেন। সার্বিক অবস্থায় চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধের দিকে নজর দেয়া হচ্ছে বেশি। আক্রান্ত রোগির লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা প্রাতিষ্ঠাানিক আইসোলেশনের ব্যবস্থ্যা নেয়া হচ্ছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত সরকারের বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য গঠিত আয়ুষ ( AYUSH ) মন্ত্রণালয় গত ২৮ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন হোমিওপ্যাথি ( CCRH ) এর ৬৪তম সায়েন্টিফিক এডভাইজারি বোর্ড সভায় ‘‘প্রিভেনশন অব কোরোনা ভাইরাস ইনফেকশন থ্রো হোমিওপ্যাথি’’ শীর্ষক আলোচনায় করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসাবে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আর্সেনিক এ্যালব-৩০ পর পর ৩দিন খালি পেটে সুক্ষ্ম মাত্রায় সেবনের পরামর্শ দিয়েছেন। যা অনুসরণ করে পরবর্তীতে ভারত সরকারের রেল বিভাগ হতে তাঁদের কর্মচারিদের নির্ধারিত হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল থেকে হোমিওপ্যাথিক ঔষুধ আর্সেনিক এ্যালব-৩০ সেবনের পরামর্শ দিয়ে গত ২৮ মার্চ ২০২০ তারিখে পত্র জারি করা হয়
জেনাস এপিডেমিকাস (Genus Epidemicus ) প্রিভেন্টিভ হোমিওপ্যাথিক ঔষধটি নির্বাচনের সময় আক্রান্ত রোগির লক্ষণ সমষ্টির উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহজনক রোগির লক্ষণগুলো হলো জ্বরসহ শারীরিক দূর্বলতা, শরীর মেজ মেজ বা ব্যথা করা, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, সর্দি, কার্শি শ্বাসকষ্ঠ অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় নিউমোনিয়া, লিউকোপেনিয়া, লিম্ফোপেনিয়া, Severe Acute Respiratory Syndrome (SARS), কিডনি ফেলউর হয়ে রোগির মৃত্যু হতে পারে। ভারতের আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের এডভাইজারি বোর্ড করোনা ভাইরাসের প্রিভেন্টিভ হোমিওপ্যাথি ঔষধ হিসাবে আর্সেনিক এ্যালব-৩০ প্রয়োগের পাশাপাশি ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা সহজপাচ্য খাবার গ্রহণের গুরুত্ব দিয়েছেন
ভৌগলিক আবহাওয়া জনিত পার্থক্যকের কারণে চীন অন্যান্য দেশ হতে ভারত এবং বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগির লক্ষণ কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে। যেহেতু, হোমিওপ্যাথি ঔষধ সার্বদৈহিক লক্ষণভিত্তিক কাজ করে সেহেতু, ঔষধ নির্বাচনের সময় লক্ষণ বিশ্লেষণে চিকিৎসকে সতর্ক থাকতে হবে। ভাইরাল ইনফেকশনে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে শতাধিক ঔষধের মধ্য থেকে একজন চিকিৎসককে রোগির লক্ষণ সাদৃশ্য নিবাচিত ঔষধটি খুঁজে বের করতে হয়
কিছু ঔষধ শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে ( Immune System) সক্রিয় করে ভাইরাস আক্রমণ হতে রক্ষা করতে পারে। যা রোগের মহামারি আকারে বিস্তার রোধে সক্ষম। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগি এদতসংক্রান্ত অন্যান্য রোগির লক্ষণসমূহ বিশ্লেষণ করে প্রচলিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধসমুহের মধ্য থেকে বেশি ব্যবহ্নত হতে পারে এমন কয়েকটি ঔষধের নাম এখানে উল্লেখ করছি যেমন-একোনাইট, আর্সেনিক এ্যালব, রাসটক্স, ব্রায়োনিয়া, বেলডোনা, জাস্টিসিয়া, ইনফ্লুয়েনজিয়াম, ইউপেটোরিয়াম, জিলসিমিয়াম, এন্টিম টার্ট, নেট্রাম মিউর,পালসেটিলা ইত্যাদি। নির্ভুল ঔষধ নির্বাচনে চিকিৎসকগণ আধুনিক সফটওয়্যারভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক রেপার্টরি ব্যবহার করতে পারেন।
করণীয়ঃ
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( WHO) কর্তৃক স্বীকৃত একটি লক্ষণভিক্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগির কোন সু-নির্বাচিত ঔষধ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি সেক্ষেত্রে প্রচলিত এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির চিকিৎসকগণের পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক রেজিস্টার্ড চিসিৎসকদেরকেও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ মেডিকেল সামগ্রী প্রদান করে সরকার কর্তৃক স্থাপিত অনুমোদিত হোমিওপ্যাথিক হাসপাতালসমূহে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ এতদসংক্রান্ত লক্ষণভিত্তিক রোগির চিকিৎসার দায়িত্ব প্রদান করা যেতে পারে। এই বিষয়ে প্রয়োজনে অভিজ্ঞ চিকিৎসকগণের সমন্বয়ে একটি উচ্চতর এডভাইজারি বোর্ড গঠণ এবং হোমিওপ্যাথিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণপূর্বক সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে একটি ট্রিটম্যান্ট গাইড লাইন প্রস্তুত করা যেতে পারে। এখানে উল্লেখ্য যে, বর্তমানে দেশে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট (বিএইচএমএস) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের সংখ্যা ,৬০০ জন (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধিত) এবং ডিপ্লোমা (ডিএইচএমএস) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের সংখ্যা ৩২,০০০ জন (বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড কর্তৃক নিবন্ধিত)
সর্বোপরি, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রম নিশ্চিত করার লক্ষে সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি/নিয়ম কানুন মেনে চলাসহ ব্যক্তিস্বাতন্ত্রনির্ভর হোমওিপ্যাথকি চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে স্বল্পব্যয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার সুযোগ রয়েছে হোমিওপ্যাথির উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি, যুগোপযোগী উন্নত প্রশিক্ষণ, রাষ্ট্রীয়ভাবে হোমিওপ্যাথিক রিসার্চ সেন্টার স্থাপন, বেসরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসমূহের শিক্ষক, চিকিৎসক কর্মকর্তা/কর্মচারিদের শতভাগ বেতন ভাতা প্রদান হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি আইনের চূড়ান্তকরণ এখন সময়ের দাবি
(ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম)
রেজিস্ট্রার-কাম-সেক্রেটারী
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড